পর্তুগালে লিগ্যাল এন্ট্রি বা বৈধ প্রবেশ কি এবং কিভাবে?

বর্তমানে পর্তুগালে ৮৮.২ ধারা অনুযায়ী কাগজ পেতে হলে লিগ্যাল এন্ট্রি বাধ্যতামূলক । এক্ষেত্রে অনেকেই বিষয়টি না জানার কারনে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি, সময় ও টাকার অপচয়সহ কাগজ পাওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হওয়ায় সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। সেনজেন ভুক্ত যে কোন দেশের ভিসা বা রেসিডেন্ট পারমিট দিয়ে একের অধিক উপায়ে লিগ্যাল এন্ট্রি / Entry of Declaration নিশ্চিত করা যায়। যথাযথ উপায়ে লিগ্যাল এন্ট্রি করে সঠিক সময়ে পর্তুগালের কাগজপত্র পাওয়া সহজেই সম্ভব হয়।
পর্তুগালে বিভিন্ন সময়ে নানান নিয়মে লিগ্যাল এন্ট্রির ব্যবস্থা থাকায় বর্তমান সময়ে নানা ধরনের তথ্য গুরপাক খাচ্ছে। ফলে নতুন কোন আগুন্তুক পর্তুগালে আসলে এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয় অভিবীসীরা এবং অনেক সময় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্যের কারনে কাগজ পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে সহজে লিগ্যাল এন্ট্রি করা যায় এই নিয়ে কথা হয়েছে প্রবাস কথার পর্তুগাল প্রতিনিধি ও লিসবনের জনপ্রিয় ইমিগ্রেশন আইনজীবী নুনো পিন্টু সিলভা এর মধ্যে। তিনি একান্ত সাক্ষাতকারে সহজে কয়েকটি উপায়ে লিগ্যাল এন্ট্রির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
প্রথমত, তিনি উল্লেখ করেন, যেকোন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট দিয়ে পর্তুগালে আসলে পর্তুগালের এয়ারপোর্টে আপনাকে প্রবেশের বা Entry Seal দিবে। এটিই আপনার সবচেয়ে বড় প্রমান বা লিগ্যাল এন্ট্রি, যে আপনি লিগ্যালি পর্তুগালে প্রবেশ করেছেন। এটি সম্ভব হবে শুধুমাত্র যদি আপনি সেনজেন এরিয়ার বাহির থেকে পর্তুগালে প্রবেশ করে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি প্রবেশের পর পর কাগজ করার পরবর্তী ধাপগুলো সম্পূর্ণ করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, আপনি যদি ইউরোপের অন্য যে কোন দেশ থেকে অভ্যন্তরিন বা Domestic ফ্লাইট দিয়ে পর্তুগালে প্রবেশ করেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে টিকেট, বোর্ডিং পাস , পাসপোর্ট ও মেয়াদসহ ভিসা অথবা রেসিডেন্স কার্ড নিয়ে কানাই অফিস (CANAI) অথবা (SEF) ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে Entry Declare করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে আগে থেকে এপোয়েন্টমেন্ট নিতে হয়।CANAI অথবা SEF ইমিগ্রেশন অফিস আপনাকে Declaration of entry latter issue করে দিবে। একটা সময় ছিল যখন এই বিষটি সাথে সাথে এন্ট্রি করা সম্ভব ছিল। কিন্তু অধিক মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও ইমিগ্রেশন অফিসের সীমাবদ্ধতার কারনে বর্তমানে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে।
তৃতীয়ত, পর্তুগালে আসার পরে আপনি যদি কোন হোটেলে বুকিং দিয়ে অবস্থান করেন এবং ফাতুরা বা অবস্থানের রশিদ সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার লিগ্যাল এন্ট্রি অটোমেটিক হয়ে যাবে। কারন প্রত্যেক হোটেলে বুকিং দিয়ে অবস্থান করলে সমস্ত তথ্য (SEF) বা ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিতে হয়। আপনাকে মনে করে ফাতুরা বা Invoice টি নিতে হবে ও সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তিতে এটিই আপনার দলিল হবে যে আপনি কবে কখন কোথায় পর্তুগালে আসছেন ও ছিলেন। আর SEF আপনার পাসপোর্ট নাম্বারের সাহায্য সহজে বিষয়টি যাছাই করতে পারবে।
পরিশেষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো travel সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র ও প্রমাণাদি যেমন Ticket, Boarding Pass, Luggage Tag সহ অন্য যেকোন কাগজপত্র অত্যান্ত যত্নসহকারে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন সিলভা । এসব কাগজ পত্র ইমিগ্রেশন অফিসে সাক্ষাতকারের সময় চাইবে। তাই এগুলো সংরক্ষণ করে ভবিষ্যৎতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সেনজেন (Schengen) ভিসা

Schengen-visa-amiopari (1)সেনজেন (Schengen) ভিসা

অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানী, গ্রিস, হাঙ্গেরী, আইসল্যান্ড, ইতালী, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, এবং সুইজারল্যান্ডে একক ভিসায় ভ্রমণ ব্যবস্থা হল সেনজেন ভিসা। এ ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই ২৬টি দেশে স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করা যায় এবং সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা যায়। এ ভিসার মেয়াদ ৬ মাস, অর্থাৎ ৬ মাসের মধ্যে যেকোন ৯০ দিন ইউরোপের দেশগুলোতে কাটানো যায়। ইউরোপে প্রবেশের প্রথম দিন থেকে দিন গণনা শুরু হয়। তবে সেনজেন ভিসার আওতায় স্থায়ীভাবে বসবাস বা কাজের অনুমতি দেয়া হয় না।

ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে বিজনেস ভিসা এবং ভ্রমণ ভিসা দু’ধরনের শ্যানগেন ভিসাই দেয়া হয়। তবে ব্যবসা ভিসা কাজের অনুমতি দেয় না, কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত যোগাযোগের জন্য এ ভিসা।

ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে অস্ট্রিয়া এবং পর্তুগালের জন্যও শ্যানগেন ভিসা ইস্যু করা হয়।

সেনজেন (Schengen) ভিসা আবেদনের নিয়ম

যিনি ফ্রান্স যেতে ইচ্ছুক তাকেই ব্যক্তিগতভাবে আবদন করতে হবে। কোন ট্রাভেল এজেন্ট বা অন্য কেউ আবদন করতে পারেন না।
মূল গন্তব্য দেশের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। আর গন্তব্য স্থির না থাকলে প্রথম গন্তব্য যে দেশ সে দেশের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। কাজেই মূল গন্তব্য বা প্রথম গন্তব্য ফ্রান্স হলেই কেবল এ ধরনের ভিসার জন্য ফ্রান্স দূতাবাসে আবেদন করা যাবে।
তিন সপ্তাহ থেকে তিন মাস সময় নিয়ে ভিসার আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
ভিসা পাওয়ার জন্য অন্তত ১০ কর্মদিবস অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হয়।
ভিসা আবেদন এবং ভিসা ফি জমা দেয়া ভিসা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয় না।
ভিসা ইস্যু হওয়ার পর ভ্রমণের উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনায়া পরিবর্তন আনা যায় না।
সকল কাগজপত্রের ফটোকপি এবং মূলকপি প্রদর্শন করতে হবে।
কাগজপত্রগুলো ইংরেজী বা ফরাসী ভাষায় অনুদিত হতে হবে।

সব ধরনের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি

ফ্রান্স দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে বড় হাতের অক্ষরে পূরণ করে তারিখসহ সাক্ষর করতে হবে।
পরিকল্পিত সফর শেষেও পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত তিন মাস থাকতে হবে।
সাদা পটভূমিতে তোলা ৩৫×৪৫ মিমি সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি দিতে হবে, রঙিন চশমা বা মাথায় টুপি পরে ছবি তোলা যাবে না।
পাসপোর্টের যে পৃষ্ঠাগুলোয় তথ্য দেয়া হয় সেগুলোর স্পষ্ট ফটোকপি।
আবেদন প্রক্রিয়াকরণ মাশুল হিসেবে ৬০ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ, যেটি অফেরতযোগ্য।

তবে বিজনেস ভিসার জন্য আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:

ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রমাণের জন্য শ্যানগেন দেশগুলোর কোথায় যাওয়া হচ্ছে তা উল্লেখ করে সেমিনার বা ওয়ার্কশপের অমন্ত্রণপত্র দেখাতে হয়,
আমন্ত্রণকারী ভ্রমণ ব্যয় বহন করলে তার প্রমাণপত্রও দিতে হয়,
ব্যবসার বেজিষ্ট্রেশন এবং ট্রেড লাইসেন্সের কপি,
হোটেল বুকিং এর কাগজ পত্রের কপি।

ভ্রমণ ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র দিতে হয়:

স্পন্সর থাকলে

স্পন্সরের পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের মূলকপি এবং ফটোকপি,
বেকার নয় এটা প্রমাণের জন্য বিগত তিন মাসের বেতনের প্রমাণপত্র

স্পন্সর না থাকলে

হোটেল বুকিং এর প্রমাণপত্র,
ছুটির মেয়াদ উল্লেখ করে চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানের দেয়া সনদ,
বিগত ছয় মাসে ব্যাংক একাউন্টের বিবরণী,
অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণপত্রও চাওয়া হয়।

এয়ারপোর্ট ট্রানজিট ভিসা

বিমান ভ্রমণের সময় শ্যানগেন দেশগুলোয় যাত্রাবিরতি করলে এ ধরনের ভিসা নিতে হয়। তবে এ ভিসার আওতায় বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকার বাইরে যাওয়া যায় না। ট্রানজিট এলাকার বাইরে গিয়ে হোটেলে থাকতে চাইলে ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

গন্তব্য দেশের ভিসা
বিমান টিকেট

এক্ষেত্রে ভ্রমণ স্বাস্থ্যবীমা প্রয়োজন হয় না।

বিশেষ ক্ষেত্রে

চিকিৎসা: চিকিৎসার জন্য ফ্রান্সে যেতে চাইলে প্রথম একজন বাংলাদেশী চিকিৎসকের দেয়া সনদ নিতে হবে। এরপর ফ্রান্সে যে চিকিৎসক বা হাসপাতালে দেখানো হবে সেখান থেকে প্রমাণপত্র সংগ্রহ করতে হবে, যেখানে চিকিৎসার আনুমানিক খরচ এবং সময়ের উল্লেখ থাকবে। রোগী বা রোগী আত্নীয়ের সামর্থ্যোর প্রমাণপত্র এবং অগ্রীম চিকিৎসাক ব্যয় অগ্রীম প্রদান করা হয়েছে এই মর্মে প্রমাণপত্র।

শিশুদের ক্ষেত্রে: বাবা-মায়ের পাসপোর্টে শিশুরা ভ্রমণ করতে চাইলে আলাদা একটি ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে, সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া ছুটির অনুমতিপত্র দিতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীরা অভিভাবকের সাথে বা আলাদা যেভাবেই ভ্রমণ করুক না কেন, অভিভাবকের সম্মতিপত্র প্রয়োজন হয় ভিসা নেবার জন্য।

বিদেশী নাগরিকদের জন্য: বিদেশী নাগরিকগণও ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে পারেন। তাদের নিয়মকানুনও একই তবে বাংলাদেশে থাকার ভিসার মেয়াদ ভ্রমণ সময় শেষ হওয়ার পর অন্তত তিন মাস মেয়াদ থাকতে হবে।

ছাত্র ভিসা

আবেদনের শর্ত

ফ্রান্সের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে এবং ভর্তির প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র হাতে আসতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য, কাগজপত্র ও ফি:

বৈধ পাসপোর্ট
দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা আবেদনের ফরম পাওয়া যায় সেটি ডাউনলোড করে দুই কপি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদন ফরম দূতাবাস অফিসেও পাওয়া যায়।
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
বিমান টিকেট
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি বাবদ ৯৯ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ জমা দিতে হয়, যা অফেরতযোগ্য।
জন্ম সনদ
জীবনবৃত্তান্ত
সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি
ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির চিঠি।
ফরাসী বিশ্ববিদ্যালয় বা বাংলাদেশের কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে দেয়া স্বাস্থ্য বীমার সনদ প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা ওয়েবসাইটে ফ্রান্স দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
টিউশন ফি জমা দেয়া হয়ে থাকলে তার রশিদ,
ফরাসী বা ইংরেজী ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ (যদি থাকে) হিসেবে অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ থেকে নেয়া ফরাসী ভাষার কোর্সের সনদ, কিংবা টোফেল/আইএলটিএস সনদের কপি জমা দিতে হবে।
বাবা-মা বা যিনি খরচ বহন করবেন তার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর।
বৃত্তি নিয়ে পড়তে যেতে চাইলে তার প্রমাণপত্র।

অন্যান্য তথ্য:

সকল কগজপত্রের মূলকপি ও ফটোকপি জমা দিতে হবে, আর সব কাগজপত্র অবশ্যই বাংলা থেকে ইংরেজীতে অনুবাদ করে দিতে হবে।

প্রক্রিয়া

কাগজপত্রসহ পুরো ফাইলটি প্রস্তুত করতে হবে।
দূতাবাসের কালচারাল অ্যাটাশের সাথে ই-মেইলে (fleur.meynier@diplomatie.gouv.fr) যোগাযোগ করে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। নির্ধারিত দিনে ফাইল নিয়ে উপস্থিত হতে হবে।
ভিসা বিভাগের জন্য আরেকটি ঐচ্ছিক এ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া হবে।
পর্যালোচনা শেষে ভিসা দেয়া না দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে এবং মূল কাগজপত্রগুলো ফেরত দেয়া হবে।

প্রয়োজনীয় সময়

পুরো প্রক্রিয়াটিতে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই যথাশীঘ্র সম্ভব আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়।

প্রস্তুতি:

ফ্রান্সে যাওয়ার আগে ফ্রান্সের ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় দূতাবাস থেকে। এজন্য অলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ধানমন্ডি, বারিধারা বা উত্তরা শাখায় যোগাযোগ করা যেতে পারে। এখানে ফরাসী চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী ও কনসার্ট আয়োজন করা হয়। ওয়েবসাইট: http://www.afdhaka.org

ফ্রান্স দূতাবাস

france-embassy-in-dhaka-online-dhaka.comপশ্চিম ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশ ফ্রান্স। আইফেল টাওয়ার আর মোনালিসার দেশে কেবল বেড়ানো নয় পড়াশোনা এবং চাকরির জন্যও যাচ্ছেন অনেকে। তবে ফ্রান্সের প্রধান ভাষা ইংরেজী না হওয়ার কারণে পড়াশোনা বা চাকরির জন্য যেতে চাইলে ফ্রেন্স ভাষাটা শিখে নেয়া ভাল। স্বল্প মেয়াদী হোক আর দীর্ঘ মেয়াদী হোক ভিসার জন্য যোগাযোগ করতে হবে গুলশানের ফ্রান্স দূতাবাসে।

ঠিকানা:

ঠিকানা : বাড়ি নং- ১৮, রোড নং-১০৮, গুলশান-২, ঢাকা

ফোন: ০২-৮৮১৩৮১১-৪

ফ্যাক্স- +৮৮-০২-৮৮২৩৬১২

ওয়েবসাইট: http://www.ambafrance-bd.org

ই-মেইল: ambafr@ambafrance-bd.org

লোকেশন: গুলশান-২ চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণ দিকে ২০০ গজ এগিয়ে পূর্ব পাশে ওয়ান্ডারল্যান্ডের পিছনে অবস্থিত।

খোলা-বন্ধের সময়সূচী:

দূতাবাসটি শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯.০০-বিকাল-৫.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
আর ভিসা বিভাগ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮:৩০ টা থেকে ১০:৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ভিসা বিভাগে যোগাযোগ

ফোন:(০০৮৮০২) ৮৮২৩৩২০/৮৮২৩৪৪৩

ফ্যাক্স: (০০৮৮০২) ৯৮৮৩৮৫১

ই-মেইল: webmestre.dacca-amba@diplomatie.gouv.fr

যুক্তরাজ্যের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

wpid-uk-work.jpg1
ইউকে বর্ডার এজেন্সী সকল ইউকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এজেন্সীর ভিসা সেবা বানিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত ভিএফএস গ্লোবাল লিমিটেড এর সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারন প্রশ্ন টেলিফোনে করতে পারেন , ভিএফএস ভিসা ইনফরমেশন হে ল্প লাইনে: +০০৮৮ ০৯৬৬৬৭৭৮৮৯৯ (০৮৩০-১৩০০ ঘটিকা এবং ১৪০০-১৬৩০ ঘটিকা এর মধ্যে) । সকল কল স্থানীয় হারে নির্ধারিত হবে । ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই দুটি লিংকে (০১) ভিএফএস {http://vfs-uk-bd.com/} এবং (০২) ইউকে বর্ডার এজেন্সী {http://www.ukba.homeoffice.gov.uk/countries/bangladesh/?langname=UK%20English}।

ভিসা পেতে পরামর্শ
যুক্তরাজ্যের ভিসার ব্যাপারে যেকোন তথ্য জানতে ইমেইল, ওয়েব এবং টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। ভিসার পেতে পরামর্শের জন্য কোন প্রকার ফি পরিশোধ করতে হয়না। ভিসা আবেদন করার পূর্বে যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন আইন এবং চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আবেদনকারীকে একটি ইমিগ্রেশন এ্যাডভাইজারের {http://oisc.homeoffice.gov.uk/}শরণাপন্ন হতে হয়। নিম্নে কয়েকটি ইমিগ্রেশন এ্যাডভাইজারের নাম এবং লিংক প্রদান করা হলো:

ল সোসাইটি অফ ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস {http://www.lawsociety.org.uk/home.law}
ল সোসাইটি অফ স্কটল্যান্ড {http://www.lawscot.org.uk/}
ল সোসাইটি অফ আয়ারল্যান্ড {http://www.lawsoc-ni.org/}
ইনষ্টিটিউট অফ লিগ্যাল এক্সিকিউটিভস {http://www.ilex.org.uk/}

ভিসা আবেদন
এসএসসি পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে গিয়ে এ লেভেল করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবেদন করতে পারেন। আবার এইচএসসি দিয়ে যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করে নিতে পারেন। আর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, পিএইচডিসহ বিভিন্ন ডিগ্রির জন্যও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন।

বিগত ৫ বছরের মধ্যে ইউকে ভ্রমণ করে থাকলে নন স্যাটেলমেন্ট ভিসার জন্য ২ সপ্তাহ পূর্বে আবেদন করতে হয়। অন্যান্য নন সেটেলমেন্ট ভিসার জন্য ১ মাস পূর্বে আবেদন করতে হয়। স্যাটেলমেন্ট ভিসার জন্য ১২ সপ্তাহ পূর্বে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে ৯০% নন স্যাটেলমেন্ট আবেদন প্রক্রিয়া করা হয়। আবেদন করার ৩ মাসের (১২ সপ্তাহ) মধ্যে স্যাটেলমেন্ট আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ইউকে বর্ডার এজেন্সীজ এর পরামর্শ অনুযায়ী ভ্রমণ তারিখের ৫-১০ সপ্তাহের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রক্রিয়ার সময় সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন ইউকে বর্ডার এজেন্সীজ। {http://www.ukba.homeoffice.gov.uk/countries/bangladesh/processing-times/?langname=UK%20English}

ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফি
ইউকের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরপরই একজন শিক্ষার্থী ইউকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। ইউকেতে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে ব্যাংকে ৩০ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হয়। ন্যূনতম IELTS স্কোর ৫.৫ দেখাতে হয়। সকল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেটের ফটোকপি, পাসপোর্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন, আই ই এল টি এস, ব্যাংক স্টেটম্যান্ট, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যাবতীয় কাগজপত্র এবং দূতাবাস থেকে নেয়া স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন পত্র প্রয়োজন পড়ে। ঢাকায় বিভিন্ন কনসালটেন্সী ফার্মের সার্ভিস চার্জ একেক রকম। স্টুডেন্ট কনসালটেন্সী ফার্মের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং চার্জ ৫০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারনত যেসকল প্রোগ্রাম অফার করে
যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে শিক্ষার্থীদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে নেয়। তবে এর সংখ্যা অনেক কম।

একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়তে চায়, সেটিকে ঘিরে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ডিগ্রি ও কোর্সের সুবিধা আছে। সাধারণ এক বছরের ফাউন্ডেশন কোর্সের পর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (ব্যাচেলর) ডিগ্রি শেষ করতে তিন বছর লেগে যায়। তারপর মাস্টার্স করতে এক থেকে দুই বছর লাগে। আরও আছে ডক্টরাল ডিগ্রি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীসহ আগ্রহী ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারেন। এমবিএ করার জন্যও যুক্তরাজ্যে নানা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

ফাউন্ডেশন কোর্সের তথ্য
এ কোর্সটি এক বছর মেয়াদি, যা যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শুরুর আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের করে নিতে হয়। এইচএসসি অথবা এ লেভেল করার পর ফাউন্ডেশন কোর্সটি করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়াশোনা শুরু করতে পারবেন। ফাউন্ডেশন কোর্স করার আগে তাঁদের অবশ্যই আইইএলটিএস IELTS করতে হয়। এর ন্যূনতম স্কোর দরকার হয় ৪.৫।

যুক্তরাজ্যে পড়াশুনার খরচ
যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি কোর্সগুলো অপেক্ষাকৃত স্বল্পমেয়াদি। তাই সময় কম লেগে থাকে। ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য সাধারণত ন্যূনতম নয় হাজার পাউন্ড দরকার হয়। তবে মেডিকেল ও ক্লিনিক্যাল সায়েন্সে পড়াশোনা ব্যয়বহুল। এতে ১২ থেকে ১৬ হাজার পাউন্ড লাগে। এমবিএ করতেও সর্বনিম্ন ১২ লাখ টাকা দরকার হয়। এখানে থাকা-খাওয়ার খরচ আলাদা বহন করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সের ধরন অনুযায়ী পড়াশোনার খরচ কমবেশি হয়ে থাকে।

যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে যোগাযোগ
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীকে প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে হয়। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি তথ্যভান্ডার হিসেবে কাজ করে। ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের কোর্সসমূহ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার’ আছেন, যাঁরা বিনা মূল্যে কাউন্সেলিং করে থাকেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সব প্রশ্নের উত্তর প্রদান, আবেদনপত্র পূরণ, উপযুক্ত কোর্স ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়াসহ স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন সম্পর্কে উপদেশ দেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের তিনটি অফিস আছে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে। এগুলো হচ্ছে: ব্রিটিশ কাউন্সিল ঢাকা, ৫ ফুলার রোড, ঢাকা, ফোন: ৮৬১৮৯০৫, ফ্যাক্স: ৮৬১৩৩৭৫, ৮৬১৩২৫৫। ব্রিটিশ কাউন্সিল সিলেট, আল-হামরা শপিং সিটি (সপ্তম তলা), জিন্দাবাজার, সিলেট-৩১০০, ফোন: ৮৮০ (৮২১) ৮১৪৯২৫, ফ্যাক্স: ৮৮০ (৮২১) ৮১৪৯২৪। ব্রিটিশ কাউন্সিল চট্টগ্রাম, ৭৭/এ উত্তর নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম, ফোন: ৮৮০ (০) ৩১ ৬৫৭৮৮৪-৬, ফ্যাক্স: ৮৮০ (০) ৩১ ৬৫৭৮৮১। ই-মেইলেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাউন্সেলিং সুবিধা নিতে পারেন। ওয়েবসাইট: education@bd.britishcouncil.org

এছাড়া যাঁরা যুক্তরাজ্যে পড়তে যেতে চান অথচ কোনো তথ্যই জানেন না কিংবা ভাসা ভাসা জানেন, তাঁদের মা-বাবা নির্ভরযোগ্য কারও শরণাপন্ন হতে চান, তাঁরা PASS-র সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। PASS হলো Professional Advisory Service for Students। PASS সুবিধা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাছ থেকে যাবতীয় সুবিধা পেতে পারেন। তাঁদের পক্ষে যুক্তরাজ্যের নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যোগাযোগ করা, প্রয়োজনীয় আবেদন ফরম পূরণ করা ও ভিসা-প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার কাজটি করে দেবেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের অভিজ্ঞ পরামর্শকেরা। PASS-র সুবিধার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানে পরিবর্তিত নীতি
স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আরো কঠোর ভিসানীতি অনুসরন করবে দেশটির সরকার। এর আগে যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রী নতুন ভিসানীতি চালু করার করেছেন। ফলে পড়াশোনা শেষে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের বেশি কেউ যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতে চাইলে তাকে ব্রিটিশ বর্ডার এজেন্সির তালিকাভুক্ত বা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের স্কিল (দক্ষ) ক্যাটাগরির কাজের নিয়োগপত্র পেতে হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমান নিয়মে বিদেশিরা পড়াশোনা শেষে বাড়তি দুই বছর কাজের সুযোগ পায় দেশটিতে। নতুন নিয়মে, ব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রফেশনাল বা ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের খন্ডকালীন কাজের ক্ষেত্রেও শর্তারোপ করা হয়েছে।

ভিসা রিফিউজের কারণসমূহ
আবেদনকারীর আইইএলটিএস, টোফেল, জিআরই অথবা স্যাটে প্রয়োজনীয় টেস্ট স্কোর (প্রযোজ্য হলে) যদি না থাকে।
আবেদনকারী বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন, তা নিশ্চিত না হলে। শিক্ষার্থী অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন এমন সন্দেহ তৈরি হলে ভিসা দেয় না কর্তৃপক্ষ।
টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য ব্যয়ভার বহনের আর্থিক সচ্ছলতার ‘সঠিক’ কাগজপত্র না থাকলে।
ভিসা অফিসার যদি মনে করেন পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীর বাংলাদেশে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই অথবা শিক্ষার্থী বিদেশে অভিবাসী হওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন।
আবেদনকারীর কোনো আইনি ঝামেলার প্রমাণ পেলে।
ভিসা কর্মকর্তাকে কোনো মিথ্যা তথ্য দিলে।
ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ফরমে কোনো মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিলে।
আবেদনকারী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি পেয়েছেন, সে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন না থাকলে।
আবেদনকারী যে বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে কিংবা এর ‘প্রয়োগ ক্ষেত্র’ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না থাকলে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অবস্থান সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে।.

কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হলে।

ভিসা সাক্ষাৎকারে অপরিচ্ছন্ন, অশালীন পোশাক পরে গেলে, সাক্ষাৎকারের আদবকেতা না মানলে কিংবা আচরণগত কোনো সমস্যা দেখা গেলে।

ভিসা সাক্ষাৎকারের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হয়, ঠিকঠাক উত্তর দিতে না পারলে। প্রশ্নের জবাব সংক্ষিপ্ত হওয়াই ভালো, অপ্রাসঙ্গিক জবাব ভিসা কর্মকর্তার বিরক্তির উগ্রেক করবে এবং এতে প্রশ্নের সংখ্যা বাড়বে।

পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের ব্যবস্থা
আগে যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ ছিল, বর্তমানে তা কমে সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা হয়েছে। পড়াশোনার ফাঁকে কিংবা ছুটিতে তাঁরা চাকরি করতে পারেন। তা ছাড়া ছুটিতে তাঁরা পূর্ণ সময় কাজ করতে পারেন। যুক্তরাজ্যে ইস্টার, গ্রীষ্মকালীন ও ক্রিস্টমাসের ছুটিতে পূর্ণ সময় কাজ করার সুবিধা আছে।

ক্রেডিট ট্রান্সফার
যুক্তরাজ্য শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে এ জন্য শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল চার-পাঁচজন শিক্ষার্থীর ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করেছে। তাঁরা প্রথমে গ্রেডশিট, পাঠ্য বিষয়বস্তু নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেছে, তারপর ব্রিটিশ কাউন্সিল তাঁদের সহায়তা করেছে।

সাইপ্রাস ভিসা তথ্য

কোন বাংলাদেশী নাগরিক dsc_0438_0১১ঙঙযেতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। ঢাকাস্থ কনস্যুলেট অফিস থেকে ভিসা ইস্যু করা হয়।
শর্ট স্টে বা ট্রাভেল ভিসা
অল্প সময়ের জন্য সাইপ্রাস যেতে চাইলে শর্ট স্টে বা ট্রাভেল ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এসব ভিসায় সর্বোচ্চ তিন মাস অবস্থান করা সম্ভব। একই ভ্রমণ ভিসায় একাধিকবার প্রবেশ করা যায় তবে সব মিলিয়ে তিন মাসের বেশি অবস্থান করা যাবে না।
ব্যবসা বা অন্য কোন কারণে যাদের ঘন ঘন সাইপ্রাস যেতে হয় তারা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা নিতে পারে। এসব ভিসার নিয়ম অনেকটা ট্রাভেল ভিসার মতই। সাধারণত এসব ভিসার মেয়াদ এক বছর হয়। তবে বিশেষ কিছু ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে এ মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
শর্ট স্টে ভিসা আবেদনের নিয়ম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কনস্যুলেট অফিসে গিয়ে সরাসরি ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে। কনস্যুলেট অফিসের দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটারের বেশি হলে রেজিস্টার্ড ডাকেও ফেরত খামসহ আবেদন পাঠানোর সুযোগ থাকে। তবে কোন এলাকায় এভাবে আবেদনের সুযোগ আছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
যে মেয়াদের ভিসার জন্য আবেদন করা হচ্ছে পাসপোর্টের মেয়াদ তার চেয়ে অন্তত তিন মাস বেশি হতে হবে। তবে ভিসা মেয়াদের পরও অন্তত ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্টের ওপর জোর দেয়া হয়।
ভ্রমণ সংক্রান্ত বুকিং প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
হোটেল রিজার্ভেশন নিশ্চিত করে হোটেল ম্যানেজারের পাঠানো ফ্যাক্স দেখাতে হবে।
বন্ধু-বান্ধব বা আত্নীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাইপ্রাসে অবস্থানকারীর নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা ইত্যাদি উল্লেখ করে আমন্ত্রণ-পত্র পাঠাতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত ফর্মে ভ্রমণকারীর দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাক্ষর করতে হবে।
“সাইপ্রাস ভ্রমণের ব্যয় নির্বাহের ক্ষমতা আছে”- এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ট্রাভেলার্স চেক বা ক্রেডিট কার্ড লিমিট উল্লেখ করে দেয়া স্টেটমেন্ট দিতে হবে। নগদ অর্থকে আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয় না।
চাকুরীজীবী হলে চাকুরীদাতার তরফ থেকে বেতন উল্লেখ করে সাইপ্রাস কনস্যুলেট বরাবর লেখা চিঠি প্রয়োজন হবে। ব্যবসায়ী বা এরকম ক্ষেত্রে সলিসিটর বা ব্যাংক ম্যানেজারের তরফে লেখা চিঠি দিতে হবে। আর শিক্ষার্থী হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে লেখা চিঠি প্রয়োজন হবে, যাতে শিক্ষার্থীর কোর্সের মেয়াদ, উপস্থিতি ইত্যাদি তথ্য থাকতে হবে।
হোস্ট যা যার সাথে দেখা করতে যাওয়া হচ্ছে তার তরফে ব্যাংক গ্যারান্টি চাওয়া হতে পারে। বাংলাদেশের জন্য এর পরিমাণ ৫০০ ইউরো।
ঢাকায় সাইপ্রাসের কনস্যুলেট অফিস
ঠিকানা:
এবিসি হাউজ, ১০ম তলা, ৮, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী বাণিজ্যিক এলাকা,
ঢাকা-১২১৩।

ফোন:
+8802 8825845 to 49, (Extn. 901/903)
8802 8859854, 8829019 (direct)
8802 8859488 (Res.)
মোবাইল ফোন: +880 1711535484
ফ্যাক্স: +8802 8826115
ই-মেইল: cyprus@gmggroup.com
অফিস সময়:
সকাল ১০:০০টা থেকে বিকাল ৫:০০টা (শুক্র, শনি এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে।)

সবচেয়ে বেশি ভ্রমন করা হয় এমন ১০ টি শহর

১০। সাংহাই :সাংহাই চীনের দক্ষিণাংশের একটি প্রধান শহর। এটি চীনের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলির অন্যতম। Yangtze নদীর মুখ অবস্হান সাংহাই শহর , সাংহাই প্রতি বছর প্রায় 6.7 milion দর্শক ভ্রমন করে।বাঁধ এবং শহরের ঈশ্বরের মন্দির পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। মূলত সাংহাই কে চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়।

.৯। হংকং: হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল গণচীনের দুইটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি। অপর অঞ্চলটি হল মাকাউ। ২৬০ টিরও বেশি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই অঞ্চলটি পার্ল রিভার ডেল্টার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এর উত্তরে চীনের কুয়াংতুং প্রদেশ এবং পূর্ব, পশ্চিম আর দক্ষিণে দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থিত। হংকং মুলত একটি দ্বীপ।। হংকং ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি উপনিবেশ। এর পরে অবশ্য অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হয়েছে। এটি পৃথিবীর অন্যতম আর্থিক কেন্দ্র , প্রায় ৭ মিলিয়ন পর্যটক হংকং ভ্রমন করে প্রতি বছর।

৮। ইস্তানবুলঃ তুরস্কের অন্যতম প্রধান শহর। এর পুরোনো নাম কন্সটান্টিনোপল। এছাড়া এটি বাইজান্টিয়াম নামে পরিচিত ছিল। এটি পূর্বে উস্‌মানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। ১৪৫৩ সালে এটি তৎকালীন উস্‌মানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়। এটি তুরস্কের সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত এখানেই ছিল তুরস্কের রাজধানী। এটি তুরস্কের বৃহত্তম শহর যার জনসংখ্যা ১২.৮ মিলিয়ন। অনেক ঐতিহ্যবাহী শহর। এই শহরটি দুটি মহাদেশকে বিভক্ত করেছে। মসজিদের নির্মাণশৈলী এবং গঠন আকর্ষনীয়। প্রতি বছর প্রায় ৭. ৫ মিলিয়ন পর্যটক এই শহরে ভ্রমন করে।

৭। দুবাইঃ মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় দুবাইকে। উষর মরুভুমি সিক্ত করে বানানো হয়েছে দুবাই শহর। দুবাই আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশের মধ্যে একটি প্রদেশ। এটি পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ তীরে আরব উপদ্বীপে অবস্হিত। ১৮৩৩ সাল থেকে দুবাই শাসন করে আসছে আল মাকতুম পারিবার। দুবাইয়ের বর্তমান শাসকের নাম মুহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম, পাশাপাশি তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করছেন। দুবাইয়ের প্রধান রাজস্ব আয় হচ্ছে পর্যটন ,রিয়েল এস্টেট এবং অর্থনৈতিক সেবা। দুবাইয়ের ৩৭ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হতে রাজস্ব আসে ৬% এর ও কম।প্রতি বছর প্রায় ৭.৬ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমন করে দুবাই।

৬। নিউইয়র্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকুলের একটি অঙ্গরাজ্য। এই রাজ্যের রাজধানী অ্যালবানি এবং বৃহত্তম শহর নিউ ইয়র্ক সিটি। নিউ ইয়র্ক সিটি সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহর।এই শহরের লিবার্টি আইল্যান্ডে বিখ্যাত ষ্ট্যাচু অব লিবার্টি অবস্থিত। দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, লিবার্টি এর মূর্তি, Ellis Island, Broadway থিয়েটার প্রোডাকসন্স, আর্ট মেট্রোপলিটান জাদুঘর , সেন্ট্রাল পার্ক,ওয়াশিংটন স্কোয়ার পার্ক, Rockefeller সেন্টার, টাইমস স্কয়ার ইত্যাদি অন্যতম। প্রতি বছর প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন পর্যটক শহরটি ভ্রমন করে।

৫। কুয়ালালামপুরঃ মালয়েশিয়ার রাজধানী ও প্রধান শহর। অনেক পর্যটকের প্রিয় একটি শহর এটি। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু যা 1998-2004 সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ভবন বলে বিবেচিত হতো।কুয়ালালামপুর হল মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক, আর্থিক ও অর্থনৈতিক সুতিকাগার। প্রায় ৮.৯ মিলিয়ন পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয় কুয়ালালামপুর প্রতি বছর।

৪। সিঙ্গাপুরঃ সিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দেশটি মালয় উপদ্বীপের নিকটে অবস্থিত। এর সরকারী নাম প্রজাতন্ত্রী সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম অর্থনৈতিক ও পর্যটন কেন্দ্র।নানা দর্শনীয় স্থানে ভরপুর সিঙ্গাপুরে প্রতি বছর প্রায় ৯.৭ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমন করে।

৩। ব্যাংককঃ ব্যাংকক মহানগর থাইল্যান্ডের রাজধানী ও প্রধান শহর। ১৯৯০ খ্রীস্টাব্দের আদমশুমারী অনুসারে এর জনসংখ্যা ৮৫,৩৮,৬১০। শহরটি চাও ফ্রায়া নদীর পূর্ব তীরে থাইল্যান্ড উপসাগরের সন্নিকটে অবস্থিত। ব্যাংকক মধ্যে পর্যটক আকর্ষণের গ্র্যান্ড প্রাসাদ, Wat Pho এবং Wat অরুণ অন্তর্ভুক্ত। এখানকার খাবারের খ্যাতি দুনিরজোড়া। নাচ, গান ও নানা ঐতিহ্যে ভরা এই শহরে প্রতি বছর প্রায় ১০.২ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমন করে।

২। লন্ডনঃ যুক্তরাজ্যের রাজধানী এবং পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম শহর। এটি ইংল্যান্ডের টেম্‌স্‌ নদীর তীরে অবস্থিত। প্রায় ৭০ লক্ষ লকের বসতি এই লন্ডন সপ্তদশ শতক থেকেই ইউরোপে তার প্রথম স্থান বজায় রেখে আসছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এটিই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। কারণ তখন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সকল স্থানই ছিল ব্রিটিশ রাজত্বের অধীন আর লন্ডন ছিল সেই রাজত্বের রাজকীয় ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। বর্তমান যুগেও লন্ডন পৃথিবীর অন্যতম প্রধান অর্থ-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে Trafalgar স্কয়ার, লন্ডন ব্রিজ, Covent গার্ডেন, লন্ডন আই, লন্ডন চিড়িয়াখানা, প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর, গ্লোব থিয়েটার, চার্লস ডিকেন্স যাদুঘর এবং মাদাম তুসো. বিগ বেন। প্রতি বছর প্রায় ১৪ মিলিয়ন পর্যটক লন্ডনে আসে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

১। প্যারিসঃ ফ্রান্সের রাজধানী। শহরটি উত্তর ফ্রান্সে ইল-দ্য-ফ্রঁস অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে সেন নদীর তীরে অবস্থিত। প্রশাসনিক সীমানার ভেতরে প্যারিসের প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ২,২১৫,১৯৭। দুই হাজার বছরেরও বেশি ঐতিহ্যের অধিকারী এই নগরী বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রাজনীতি, শিক্ষা, বিনোদন, গণমাধ্যম, ফ্যাশন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলা — সব দিক থেকে প্যারিসের গুরুত্ব ও প্রভাব এটিকে অন্যতম বিশ্ব নগরীর মর্যাদা দিয়েছে। ইল্‌-দ্য-ফ্রঁস্‌ তথা প্যারিস অঞ্চল ফ্রান্সের অর্থনীতির কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। শহরটিতে অনেক উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে রয়েছে – আইফেল টাওয়ার, নোত্র্‌ দাম গির্জা, শঁজেলিজে সড়ক, আর্ক দ্য ত্রিয়োম্‌ফ, বাজিলিক দ্যু সক্রে ক্যর, লেজাভালিদ্‌, পন্তেওঁ, গ্রঁদ আর্শ, পালে গার্নিয়ে, ল্যুভ্র্‌, ম্যুজে দর্সে, ম্যুজে নাসিওনাল দার মোদের্ন ইত্যাদি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশীসংখ্যক পর্যটকের গন্তব্যস্থল প্যারিস। প্রতি বছর প্রায় ১৪.৮ মিলিয়ন পর্যটক প্যারিস ভ্রমন করে।